ভারতে ভয়াবহ তুষারধস, চাপা ৪১ জনের মধ্যে উদ্ধার ১৬
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ১ মার্চ, ২০২৫
উত্তরাখণ্ডে বদ্রিনাথ মন্দিরের কাছে সীমান্ত গ্রামে তুষারঘসে চাপা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে কাজ করছেন ভারতীয় সেনা ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা।
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলিতে ভয়াবহ তুষারধস হয়েছে। এতে বরফের নিচে চাপা পড়ে নিখোঁজ হন দেশটির সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) অন্তত ৪১ শ্রমিক, যাদের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারত-তিব্বত সীমান্তের কাছে উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামে তুষারধসের পর উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন ভারতীয় সেনা ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা।
বিআরও-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সিআর মীনা বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে। তবে বৈরী আহবাওয়ার কারণে বেগ পেতে হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের খ্যাতনামা বদ্রিনাথ মন্দির থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মানা সীমান্ত গ্রাম। সেখানে সীমান্ত সড়ক সংস্থার একটি ক্যাম্প রয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তুষারধসের সময় শ্রমিকরা রাস্তা তৈরির কাজ করছিলেন।
ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, বদ্রিনাথের কাছে তুষারধসের সময় সেখান ৫৭ জন শ্রমিক ছিলেন।
সিআর মীনা বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে, তবে প্রবল তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের মহাপরিচালক দীপম শেঠ বলেছেন, “উদ্ধার অভিযানে নেমেছেন ৬০-৬৫ জন কর্মী। তবে প্রধান চ্যালেঞ্জ সেখানকার প্রতিকূল আবহাওয়া। প্রবল তুষারপাত ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে রাস্তা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমরা বরফ কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে রাস্তা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছি।”
তুষারধসের পরপরই রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, জেলা প্রশাসন, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ ও বিওআর এর বিশেষ দল উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
চামোলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি বলেন, প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে হেলিকপ্টার পাঠানো সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে উত্তরাখণ্ডসহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি অঞ্চলে ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২০ সেন্টিমিটার প্রবল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই দুর্যোগের ফলে নিচু এলাকায় পানি জমে যেতে পারে। রাস্তা প্লাবিত হতে পারে এবং কাচা বাড়ি ও রাস্তার ক্ষতি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।