ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ৫ মে, ২০২৫
ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী ইসরায়েলের তেল আবিবে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। রোববার (৪ মে) চালানো এই হামলায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হামলার পরপরই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরটির সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত ঘোষণা করেছে।
হুথি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে এই হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে তার নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এছাড়া উপকূলীয় শহর আশকেলনেও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। হুথিরা এই হামলাকে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলির জন্য একটি ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ্য, এটি সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলে হুথিদের তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এর আগে তারা রামাত ডেভিড বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিব অঞ্চলকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছিল।
হামলার জেরে বিশ্বের নয়টি শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা তেল আবিবে তাদের ফ্লাইট স্থগিত করেছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে। চ্যানেল-১৩ এর খবরে বলা হয়েছে, জার্মানির লুফথানসা, ফ্রান্সের এয়ার ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা, হাঙ্গেরির উইজ এয়ার, সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ার লাইনস, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়া, ইতালির আইটিএ এয়ারওয়েজ এবং স্পেনের এয়ার ইউরোপা তেল আবিবে নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এর কাছে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে। তবে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি আটকানোর একাধিক প্রচেষ্টা চালালেও তা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে আর্মি রেডিও জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিজস্ব অ্যারো সিস্টেম এবং মার্কিন নির্মিত থাড সিস্টেম উভয়ই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একটি নিরাপত্তা সূত্র চ্যানেল-১২ কে বলেছে, ‘গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র, যা আমরা আটকাতে ব্যর্থ হয়েছি।’
এই ঘটনার পর ইসরায়েলি বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গ্যান্টজ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন। এদিকে, চ্যানেল-১৩ জানিয়েছে, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এই ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে।