ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ওয়াশিংটন ডিসি
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজধানীর রাস্তায় টহলরত বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিক্ষোভ থেকে ট্রাম্পকে ‘এখনই বিদায় করতে হবে’ বলেও দাবি করা হয়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এএফপি জানায়, ডেমোক্র্যাটদের নেতৃত্বাধীন অন্যান্য শহরেও দমনপীড়নের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি শিকাগো থেকে অভিবাসীদের বহিষ্কারের হুমকি দেন। এ নিয়ে ব্যাপক বাক্ষোভ শুরু হয়েছে শিকাগোতে। সেখানে মূলত ১৯৭৯ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’-এর প্যারোডি করা হয়েছিল।
টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, ‘উই আর অল ডিসি’ শীর্ষক এ মিছিলে অংশ নেন অবৈধ অভিবাসী ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থকরা। তারা ট্রাম্পের সমালোচনা করে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং পোস্টারে বিভিন্ন বার্তা লিখে আনেন। যার কয়েকটিতে লেখা ছিল– ‘ট্রাম্পকে এখনই বিদায় করতে হবে’, ‘ডিসিকে মুক্ত করো’, ‘স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলো’।
অ্যালেক্স লফার নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমি এসেছি ডিসির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। আমরা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরোধিতা করছি। ফেডারেল পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডকে রাস্তা থেকে সরাতে হবে।
রয়টার্স জানায়, ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার জানান, সাংবাদিকদের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যে আইসিই এজেন্ট ও সামরিক যান শিকাগোতে পাঠিয়েছে এবং আরও পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
কেসি নামে এক প্রতিবাদকারী বলেন, ডিসিতে যা করছে, অন্য একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলোও তাই করে থাকে। এখন যদি মানুষ সহ্য করে, তবে তারা ধীরে ধীরে অন্য জায়গায়ও একই কাজ করবে। তাই দেরি হওয়ার আগেই থামাতে হবে।
অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে ম্যাসাচুসেটসে ট্রাম্পের অভিযান শুরু
অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস এবং বোস্টন এমন খবর প্রকাশ করেছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলছে, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে ‘অপরাধে জড়িত বিদেশিদের’ ওপর এ ধরপাকড় অভিযান চালানো হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এবং তাদের অভিবাসন ও শুল্ক কার্যকরবিষয়ক শাখা (আইসিই) এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘প্যাট্রিয়ট ২.০’। গত মে মাসে পরিচালিত অভিযানের নাম বদলে নতুন অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযানে এক হাজার ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।