আফগানদের ব্রিটিশ বধ

আরও একবার আইসিসির মঞ্চে ব্রিটিশ বধ করলো আফগানিস্তান। সবশেষ করেছিল ২০২৩ সালে দিল্লিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে। এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে রাওয়ালপিন্ডিতে। এদিন আফগানিস্তান আগে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরানের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩২৫ রান সংগ্রহ করে। জবাব দিতে নেমে জো রুটের সেঞ্চুরির পরও ৪৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড।

৮ রানের হারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর থেকে তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। আগের ম্যাচে তারা ৩৫১ রান করে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এই ম্যাচে ৩২৫ রান তাড়া করেও পারল না জিততে।

অন্যদিকে আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার আশা বেঁচে রইলো। শেষ ম্যাচে তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে শেষ চার নিশ্চিত করতে পারবে।

রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। ১৯ রানে ফিল সল্ট (১২) ও ৩০ রানের মাথায় ফিরেন জেমি স্মিথ (৯)।

সেখান থেকে বেন ডাকেট ও জো রুট ৬৮ রানের জুটি গড়েন। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ৯৮ রানের মাথায় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ব্যক্তিগত ৩৮ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ১৩৩ রানের মাথায় ফিরেন হ্যারি ব্রুকও (২৫)।

সেখান থেকে রুট ও জস বাটলার টানতে থাকেন ইংল্যান্ডের ইনিংস। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন ৮৩ রানের জুটি গড়ে স্বপ্ন দেখান। কিন্তু ২১৬ রানের মাথায় বাটলার ফিরেন ২ ছক্কায় ৩৮ রান করে।

সঙ্গী হারাতে থাকলেও রুট ছিলেন নির্ভিক। তিনি দারুণ টেম্পারামেন্ট দেখিয়ে ৯৮ বলে ১০ চারে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে আশা দেখছিল ইংলিশ সমর্থকরা। কিন্তু ২৩৩ রানে লিয়াম ভিলিংস্টন (১০) ফেরার পর ২৮৭ রানের মাথায় আউট হন রুট। যাওয়ার আগে ১১১ বলে ১১টি চার ও ১ ছক্কায় ১২০ রানের ইনিংস খেলে যান।

রুট ফিরে গেলে ইংল্যান্ডের জয়ের সম্ভাবনাও কমে যায়। তবে জোফরা আর্চার ও জেমি ওভারটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুত ব্যবধান কমিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। জাগে জয়ের সম্ভাবনাও। ৩০৯ রানের মাথায় ওভারটন আউট হয়ে যাওয়ার পর সম্ভাবনা বলতে গেলে নাই হয়ে যায় ইংলিশদের। এরপর ৩১৩ রানে আর্চার ও ৩১৭ রানে আদিল রশিদের আউটের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসের যবনিকাপাত ঘটে।

বল হাতে আফগানিস্তানের সেরা ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ৯.৫ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। যা ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তার প্রথম ফাইফার। এছাড়া মোহাম্মদ নবী ৮ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি, রশিদ খান ও গুলবাদিন নায়েব।

পাঠকের মন্তব্য