নারী: শক্তি, সৌন্দর্য ও স্বরূপ
ডাকসু নির্বাচন থেকে নারী জাগরণের প্রতিচ্ছবি
-
- - নিজস্ব -
- প্রতিবেদক --
- ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
রুবাইয়া বিধু
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিনের জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী প্রতিটি মুহূর্ত যেন ভিডিও ক্লিপসের বন্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। দর্শক হিসেবে আমার কাছে স্পষ্ট হয়েছে—মিডিয়াগুলো কি সত্যিই পুরো নির্বাচনের কাভারেজ করেছে, নাকি কেবল একজন মোনামীকে ঘিরেই সরব থেকেছে।
রাজনীতি আমি বুঝি না। কারণ এ দেশে রাজনীতির কোনো স্থির শেষ কথা নেই। চিন্তা, আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গি এখানে প্রতি ক্ষণে পরিবর্তিত হয়। যে ব্যক্তি এ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন, সেই-ই মুহূর্তে হয়ে ওঠেন রাজনৈতিক মহারথী।
তবুও বলতে হয়—অস্থির সময়ের ভিড়ে একজন মোনামী তাঁর রূপ, সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানের যে দীপ্তি প্রকাশ করেছেন, তা উপেক্ষা করার মতো নয়। তিনি যেন প্রমাণ করেছেন, নারী কেবল দর্শক নন; বরং পরিবর্তনের অগ্রণী শক্তি।
কিন্তু সমাজে নারীশক্তিকে আমরা প্রায়ই সীমিত করে দেখি। অথচ নারী বহুমাত্রিক। তিনি কখনো কালী, কখনো দূর্গা, কখনো মা, আবার কখনো সমাজের চোখে অবাঞ্ছিত বেশ্যা। নারী একই সঙ্গে সৃষ্টির মমতাময়ী উৎস এবং ধ্বংসের প্রলয়ংকারী আগুন। তাঁকে কোনো একক পরিচয়ে বাঁধা যায় না।
এই সত্যকে উপলব্ধি করেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর অগ্নিঝরা কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন—
“জাগো নারী! জাগো বহ্নিশিখা!
জাগো দুর্বার! জাগো অগ্নি-দেবী!
জাগো মহাকালী! জাগো বিশ্ব-জননী!”
আজও সেই আহ্বান সমান প্রাসঙ্গিক। নারী জাগলেই সমাজ জাগে, দেশ জাগে, মানবতা জাগে। নারীই আসল শক্তি—যিনি একই সঙ্গে মমতার প্রতিমা ও সংগ্রামের অগ্নিশিখা, বিনাশেরও মূর্ত প্রতীক!
পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হিসেবে একজন নারীই যথেষ্ঠ, আরেকবার প্রমাণিত!
তারিখ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫