উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে ‘জুলাই’২৪ বিপ্লবের স্মৃতি সংরক্ষণে কর্মশালা

জুলাই’২৪ বিপ্লবে অংশগ্রহণনকারীদের স্মরণীয় করে রাখতে উত্তরা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদে নিজস্ব উদ্যোগে সোমবার (১৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে ‘বাছাই পদ্ধতি প্রণয়ন কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া নির্ধারণ এবং স্মৃতি সংরক্ষণ কার্যক্রমকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপ্লবের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি ধাপ এরমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে- অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বাছাই পদ্ধতি নির্ধারণ, বিপ্লবীদের তালিকা তৈরি, তাদের অবদান নিশ্চিতকরণ, শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ও প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে পেশাদার সম্পাদনা ও একটি প্রামাণ্য স্মারক প্রকাশনা। উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ কর্মশালায় ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে ছিলেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রক্টর অধ্যাপক এএসএম শাহাবুদ্দিন ও স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স এর ডিরেক্টর ড. শাহ আহমেদ। 

শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, `যারা জুলাই বিপ্লবে জীবন বাজি রেখে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তারা উত্তরা ইউনিভার্সিটির সত্যিকারের সূর্যসন্তান। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।'

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা আরও বলেন, ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করা এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা পৌঁছে দেওয়াই হবে এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য। ছাত্রদের উদ্যোগে করা এ স্মারক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শুধু ইতিহাসই জানাবে না, বরং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী হতে উদ্বুদ্ধ করবে। 

প্রশ্নোত্তর পর্বের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে একজন জানতে চান, কোন জুলাই যোদ্ধা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ পরিপন্থী কোন কাজ করে থাকলে সেও কি জুলাই স্মৃতি স্মারকে অন্তভর্‚ক্ত হবে? জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক এএসএম শাহাবুদ্দিন বলেন যে, বিষয় দু’টি স্বতন্ত্র। 

কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক বিভাজন, সহিংসতা ও ঘৃণার রাজনীতি পরিহার করে একাত্মতার ভিত্তিতে ঐতিহাসিক দলিল সংরক্ষণের আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অভিজ্ঞতা, দলিল ও তথ্যের ভিত্তিতে শিগগিরই ‘জুলাই ২০২৪ বিপ্লব’ বিষয়ক একটি স্মৃতি স্মারক প্রকাশ করা হবে। এটি শুধু উত্তরা ইউনিভার্সিটি পরিবারের জন্যই নয়, বরং দেশের সামগ্রিক ইতিহাসের জন্য এক অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।

পাঠকের মন্তব্য