কেয়ারের উদ্যোগে সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যবসা খাতের ভূমিকা নিয়ে সভা

কেয়ার বাংলাদেশ এবং লাইটক্যাসল পার্টনার্স ও ডেভলার্নের উদ্যোগে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যবসা খাতের ভূমিকা নিয়ে দুই দিনব্যাপী এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসায়িক এ সভায় কাজ, বিনিয়োগ ও এর প্রভাব নিয়ে কর্পোরেট, ব্যাংক, নীতিনির্বাহী ও ইনোভেশন জগতের শীর্ষস্থানীয়রা আলোচনা করেন।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কেয়ার বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার রাজধানীর এক হোটেলে শুরু হওয়া এ আয়োজনের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আগের অবস্থায় আটকে থাকা অসম্ভব। আমাদের রাজস্ব আয়ের পুরোনো পদ্ধতি বদলে ফেলতে হবে। উন্নয়ন বাজেটের একটা বড় অংশ এখনো বিদেশি অনুদানের উপর নির্ভরশীল, কিন্তু এখানে নতুন উপায় বের করার সুযোগ আছে। বেসরকারি খাতের পক্ষে বিদেশি অর্থায়ন জোগাড় করার সুযোগ অনেক। উন্নয়নখাতের ঘাটতি পুরণে এই সুযোগ অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।”

সভায় কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাস বলেন, “যখন দৃঢ় বিশ্বাসে গড়ে ওঠে পুঁজি, ঐতিহ্য মেশে প্রযুক্তির সাথে, আর লক্ষ্য থাকে বাজার সম্প্রসারণের, আমরা তখন শুধু উন্নয়ন নয় সমাজে একটি গভীর প্রভাব ফেলতে কাজ করি। এভাবেই শুধু সমাজ বা জাতি হিসেবে নয়- আমরা সকলে এগিয়ে নিয়ে যাই এই উদ্দেশ্যসমৃদ্ধ উন্নয়নকে।”
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার "ইকোসিস্টেম ব্লুপ্রিন্ট :

কোলাবোরেশন ফর আ সার্কুলার ফিউচার" শিরোনামে বেসরকারি খাত, দাতা স্বংস্থা, সহযোগী প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে একটি গোলটেবিল আলোচনা হয়। এদিন কৃষি, প্রযুক্তি, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, অর্থসংস্থান ও অর্থনীতির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতি এবং আগামীর সম্ভাবনা  তুলে ধরা হয়।  

এ সময় কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) এমবেট মেনা বলেন, “তরুণদের এগিয়ে নিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি। আর সেজন্য এটাই সঠিক সময়। সহযোগিতা, অর্থায়ন এবং নতুন নতুন সুযোগ তৈরির মাধ্যমে কোম্পানি, সরকার এবং উন্নয়ন স্বংস্থা- সবাই একসাথে কাজ করতে হবে। এভাবেই আমরা নিশ্চিত করতে পারি- দেশের কোন তরুণ তরুণীই পিছিয়ে পড়বে না।”

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে ‘কেয়ার প্যাকেজ’ তৈরির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল কেয়ার । বর্তমানে এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানবিক সংস্থাগুলোর একটি, যা বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্যের বিমোচনে কাজ করে চলেছে। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন জরুরি ও বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে স্বংস্থাটির। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্টি, বিশেষ করে মেয়ে ও মহিলাদের প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেয় সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ অর্থবছরে কেয়ার বাংলাদেশ ৪০টিরও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছেছে, যাদের ৬৩% ছিল নারী।

পাঠকের মন্তব্য