‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া হবে’
-
- - নিউজ -
- ডেস্ক --
- ২৯ জুলাই, ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ও আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার চিন্তা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এজন্য হতাহতদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পাওয়ার পর এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সভায় প্রাথমিকভাবে এ পরামর্শ নেওয়া হয়। দেশে চলমান পরিস্থিতি কীভাবে শান্ত করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে যাওয়া নয়, প্রয়োজনে তাদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ এসেছে উপাচার্যদের পক্ষ থেকে। পরিবারের সদস্যদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় কিনা- সে বিষয়টিও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ। সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির প্রতিনিধি ছাড়াও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের খোঁজ খবর নিতে এবং প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা দিতে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন নিহত ও আহত হয়েছেন সেটির একটি তালিকা করার আহবান জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে ক্ষমাও চাওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, চলমান পরিস্থিতিতে সহসাই স্বশরীরে ক্লাস শুরু না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ট্রমা থেকে বের করতে কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ট্রমা থেকে বের হলে অনলাইনে ক্লাস শুরুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সভায় উপস্থিত এক উপাচার্য বলেন, চলমান পরিস্থিতি কীভাবে শান্ত করা যায়, সে বিষয়ে উপাচার্যদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। একেকজন একেক রকম পরামর্শ দিয়েছেন। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাসের পরামর্শ গুরুত্ব পেয়েছে। এজন্য সরকারকে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট স্বাভাবিক করার অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান অনেক। তাদের চিন্তাভাবনার সাথে শিক্ষকদের অনেক কিছুই মেলে না। এই ব্যবধান দূর করতে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটে সেটি খুঁজে বের করতে একটি সেল গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।